
ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশকে ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ যে মূল্য ছাড় ও কর সুবিধা চেয়েছিল, তা দিতে রাজি হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের ৩১ আগস্ট বিদ্যুতের বিল পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয় আদানি পাওয়ার। ১ নভেম্বর ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় বাংলাদেশও সরবরাহ কমানোর অনুরোধ জানায়।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে আগামী সপ্তাহ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূল্য ছাড় ও কর সুবিধা দিতে রাজি হয়নি আদানি পাওয়ার। গত মঙ্গলবার বিপিডিবির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকেও আদানি ছাড় দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, “আদানি পাওয়ার ছাড় দিতে রাজি নয়, এমনকি ১০ লাখ ডলারও নয়। তারা কেবল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কাজ করছে।”
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রয়টার্সের মন্তব্যের আহ্বানে সাড়া দেননি। তবে তিনি আগে বলেছিলেন, “আদানির সঙ্গে এখন বড় কোনো সমস্যা নেই, তারা পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, আদানি পাওয়ারের পাওনা মাসে সাড়ে আট কোটি ডলার থেকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে তারা এর আগে জানিয়েছিল, বিপিডিবির কাছে তাদের পাওনা ৯০ কোটি ডলার। বিপিডিবির হিসাব অনুযায়ী, এই অঙ্ক ৬৫ কোটি ডলার, যা বিদ্যুতের শুল্ক হিসাবের পদ্ধতিগত পার্থক্যের কারণে ভিন্ন।
এর আগে, বিপিডিবি আদানির কাছে কর সুবিধা ও পূর্বের ছাড় পুনর্বহালের অনুরোধ জানিয়েছিল, তবে আদানি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।