
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ১০ দিনের মধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় জনসভা করবে দলটি।
n
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
n
রিজভী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত প্রতিরোধের দাবিতে বিএনপি এই কর্মসূচি শুরু করছে।
n
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সহযোগীরা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়ে গেছে, যারা ৫ আগস্টের পরিবর্তন মেনে নিতে পারেনি। তাদের চিহ্নিত করতে না পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা কঠিন হবে।’
n
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব পদক্ষেপ সবার কাছে সফল মনে নাও হতে পারে, তবে এই সরকারের ব্যর্থতা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হবে।’
n
রিজভী দাবি করেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও রেকর্ড প্রকাশ করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন। তিনি আরও বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগ কর্মীরা হামলা চালিয়েছে, যেখানে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
n
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার যথাযথভাবে করেনি। বরং ৫৭২ জন আওয়ামী নেতা জামিন পেয়েছে, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
n
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা-নাগরিকদের অভ্যুত্থানে যে বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যা চালানো হয়েছে, সেই অপরাধীদের কতজন গ্রেফতার হয়েছে, সেটির জবাব সরকারকে দিতে হবে।’
n
বিএনপির দাবি, ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার বিচার না হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
n