
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন কেন্দ্র ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন উপদেষ্টা, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তিনি রাজধানীর র্যাব হেডকোয়ার্টারে অবস্থিত আয়নাঘরসহ তিনটি স্থান ঘুরে দেখেন। সেখানে চালানো নির্যাতনের বীভৎস চিত্র প্রত্যক্ষ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আওয়ামী শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মানুষের মনুষ্যত্ববোধ থেকে এটি বহু দূরে। এখানে যা ঘটেছে, তা অবিশ্বাস্য। মনে হয়, এটা কি সত্যিই আমাদের দেশ?”
তিনি অভিযোগ করেন, “বিনা কারণে মানুষকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে নির্যাতন করা হতো। এখন জানা যাচ্ছে, সারাদেশে আরও সাত-আটশ আয়নাঘর আছে। এর সংখ্যা নিরূপণ করাও কঠিন।”
গুম কমিশনের তদন্তে আয়নাঘরের অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসায় কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, এই টর্চার সেলগুলোর তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণ করা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এ সময় শেখ হাসিনার আমলে গুম হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী ও মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম জানান, তারা নিজেরাও এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন এবং নির্যাতনের স্থানগুলো চিহ্নিত করেছেন।
পরিদর্শনকালে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, উপদেষ্টা মাহফুজ আল